অপমান প্রসঙ্গে
-শচীদুলাল পাল
অন্যকে অপমান করা এক মানসিক রোগ। যখন কেউ কাউকে অপমান করে কারণে অকারণে তখন বুঝতে হবে এর পিছনে কি কি বিষয় কাজ করছে।
আসলে অপমান করা বলতে কি বোঝায়?
কাউকে অপমান করার মানে হল তার সাথে অসম্মানজনক ভাবে কথা বলা বা খারাপ ব্যবহার করা।সাধারণত অপমান করার ধরণ দুই রকমের হতে পারে।সবার সামনে কাউকে মেরে অপদস্থ করা,বা মৌখিক অপমান।
মেরে অপমান করার অর্থ তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া। মৌখিক অপমান করা দু’রকম। তার অঙ্গভঙ্গি নকল করা বা তার দুর্বলতায় সরাসরি আঘাত করা।
জীবনের পথ চলায় আপনি কখনো একই সাথে সবাইকে ভালো রাখতে পারবেন না। এটাই স্বাভাবিক। কিছু মানুষ আপনাকে পছন্দ করবে এবং কিছু মানুষ আপনাকে অপছন্দ করবে।
যারা আপনাকে অপমান করছে তারা হতে পারে আপনার আপন জন প্রতিবেশী বা কলিগ।
মজা করার জন্য যদি করে থাকে তাহলে সেটা গ্রহনযোগ্য। কিন্তু কতক ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য করে থাকে।
জগতের প্রতিটি মানুষ কখনো না কখনো অপমানের সম্মুখীন হয়েছেন। তার হাত থেকে মহাপুরুষরাও রেহাই পায়নি।
কেউ অপমান করলে কি করতে হবে জানা থাকলে এরকম সামাজিক পরিস্থিতি আপনিও ভালোভাবে সামলে নিতে পারবেন। পরিস্থিতি নির্ধারণ, সঠিক প্রতিক্রিয়া দেখানো এবং প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নেওয়া ইত্যাদি আপনাকে সাহায্য করে।
মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায় ঈর্ষান্বিত মানুষ যখন আপনার সঙ্গে সমতায় আসতে পারছে না, যশ মান মর্যাদায় আপনার সমকক্ষ হতে পারছে না তখন তার মানসিক বিকলন হয়। উপায়ান্তর না পেয়ে আপনাকে অপমান করে মনের ঝাল মেটায়।তার নিজস্ব ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ অন্যকে অপমান করা। অপপ্রচার করা।
আপনি কি তার অপমানের বিপরীতে তাকেও পাল্টা অপমান করবেন? নাকি মন খারাপ করে বসে থাকবেন? নাকি স্বাভাবিকভাবে সেখান থেকে চলে যাবেন এবং তাকে উপেক্ষা করবেন?
হেসে উড়িয়ে দিন। উপেক্ষা করুন। গায়ে মাখলে চলবে না। মনে করুন কেউ একটা কিছু উপহার দিল। আপনি তা গ্রহণ করলেনই না। হেসে উড়িয়ে দিলেন। সেক্ষেত্রে অপমানকারীর উদেশ্য সফল হলো না।
এভাবেই অবহেলা করলে অপমানকারী পরাজিত হবে। কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করা। নিজের মনকে শান্ত রাখতে হবে। সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। উপেক্ষা এমন ভাবে করতে হবে যেন আপনি শোনেনি তখন সে রণে ভঙ্গ দেবে।
আপনি শান্ত থেকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যাবেন।
আপনাকে তা সত্ত্বেও অপমান করে তাহলে তাকে বোঝাতে হবে এই ভাবে যে তার অপমানে আমার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বরঞ্চ তার নিজেরই ক্ষতি হচ্ছে
মানুষ আপনার সম্বন্ধে ভুল বার্তা নিচ্ছে। তাতে আপনি নিজেকেই সমাজের কাছে ছোটো করছেন। সাময়িক হয়তো মনের ঝাল মিটাচ্ছেন পরিনামে সমাজ অপমান কারিকেই ঘৃণার চোখে দেখছে।
হাস্যকৌতুক এর জবাব হাস্যকৌতুকের দ্বারাই দিতে হবে।